SEE DETAILED DISCUSSION OF THE MOUSE

Mouse নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা

মাউস-এর সংক্ষিপ্ত পরিচিতি

মাউস কম্পিউটার পরিচালনায় ব্যবহৃত একটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় Input Device. ১৯৬০-এর দশকে স্ট্যানফোর্ড রিসার্চ ইন্সটিটিউটের ডুগলাস এঙ্গেলবার্ট সর্বপ্রথম মাউস আবিষ্কার করেন। কিন্তু সত্তরের দশকের দিকে এটি কেবল জেরক্সের কম্পিউটার ছাড়া অন্য কথাও জনপ্রিয়তা পায়নি। ১৯৮০-এর দশকে অ্যাপল কম্পিউটার তাদের ম্যাকিন্টশ সিরিজে প্রথম এটি উপস্থাপন করে। আবিষ্কারের পর আকৃতিতে এটা দেখতে ইঁদুরের মত হওয়ায় এর নাম মাউস হয়েছিল। মাউসের জনক ডুগলাস এঙ্গেলবার্ট ১৯৬৩ সালে তিনি তৈরি করেছিলেন বিশ্বের প্রথম কম্পিউটার-মাউস। এ বিশ্বকে বদলে দেয়ার তার ছিল জন্য অদম্য ইচ্ছা ও প্রয়াস। আর তার এই ইচ্ছা ও প্রয়াসই কাজ করেছে মাউস আবিষ্কারের পিছনে। ডুগলাস এঙ্গেলবার্ট একাধারে মাউসের উদ্ভাবক, আবার হাইপারটেক্সট, নেটওয়ার্ক কম্পিউটার ও গ্রাফিকস ইউজার ইন্টারফেসেরও গবেষক।


এঙ্গেলবার্টের পরিচিতি

ডুগলাস ১৯২৫ সালের ৩০শে জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ওরেগন অঙ্গরাজ্যের পোর্টল্যান্ডে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ওরেগন স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ে তড়িৎ কৌশল বিষয়ে পড়াশোনা করেন। তিনি ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়,  বার্কলে থেকে এমএস এবং পিএইচডি সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি এস.আর.আই ও অগমেন্টেশন গবেষণা কেন্দ্রে কাজ শুরু করেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় তিনি একজন রাডার টেকনিশিয়ান হিসেবে কাজ করেন। ১৯৬৩ সালে কম্পিউটারের জন্য বিশ্বের প্রথম মাউসটি তৈরি করেন এঙ্গেলবার্ট। স্ট্যানফোর্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটে এটি তৈরি করেন তিনি। এটিকে ব্যবহারের সুবিধার্থে ইদুরের আকৃতি দেওয়া হয়েছিল। ফলে এর নাম হয় মাউস। মাউসের ফলে কম্পিউটারের গ্রাফিক্স ইউজার ইন্টারফেস বা অপারেটিং সিস্টেম জনপ্রিয় হয়। স্ট্যানফোর্ডে গবেষণার সময় মাউস আবিষ্কার করায় এর সব সুনাম যায় স্ট্যানফোর্ডের নামে। তাই মাউস আবিষ্কারের মত এত বড় অর্জন থেকে কোনো অর্থ পাননি তিনি। মাউস আবিষ্কারের পর স্ট্যানফোর্ডের গবেষকেরা একে ‘বাগ’ নামে ডাকতে শুরু করেন। তবে মাউসের সঙ্গে ইঁদুরের লেজের মতো তার যুক্ত থাকায় এর নাম ‘মাউস’-ই রাখেন এঙ্গেলবার্ট। তাঁর দেওয়া নামটিই জনপ্রিয় হয়। প্রথম সেই মাউসটির আকার আজকের পরিচিত মাউসের মতো ছিল না, বরং এটি তৈরি করা হয়েছিল একটি বাক্সের মধ্যে। মাউস নাড়াচড়া করার মতো বিশেষ চাকা ছিল বাক্সে। আকারে এটি ছিল বর্তমান মাউসগুলোর তুলনায় বেশ খানিকটা বড়। এ মাউসটি তৈরি করতে কাঠ ব্যবহার করা হয়েছিল। ১৯৮০ সালে অ্যাপল কম্পিউটার তাদের ম্যাকিনটোশ সিরিজে প্রথম মাউসের ব্যবহার শুরু করে। এঙ্গেলবার্ট ২ জুলাই ৮৮ বছর বয়সে নিজ বাড়িতে মারা যান। তাঁর মেয়ে ক্রিস্টিনা এক ই-মেইল বার্তায় মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।



আধুনিক পথে মাউসের যাত্রা

যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডোর অ্যাসপেন শহরের মাটির নিচে হারিয়ে গিয়েছিল প্রযুক্তির ইতিহাসের এক অমূল্য সম্পদ। কিন্তু অনুসন্ধানকারীরা খুঁজে পাওয়ার দাবি করেছেন অ্যাপলের তৈরি সেই অমূল্য সম্পদ ‘লিজা মাউস’। তিন দশক ধরে মাটির নিচে গোপনে সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছিল অ্যাপলের তৈরি লিজা কম্পি  উটারের এই মাউস। ১৯৮৩ সালে অ্যাপলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জবস এক সম্মেলনে এই মাউসটি দেখিয়েছিলেন। এটি অ্যাপলের তৈরি প্রথম মাউস। কাঠ খোদাই করে তৈরি এই মাউসের নিচে মোশন ট্র্যাক করার জন্য দুটি চাকা রয়েছে।


 

১৯৮৩ সালে অ্যাপল লিজা কম্পিউটার বাজারে আনার সময় তার সঙ্গে যে মাউসটির পরিচয় করিয়ে দিয়েছিল তা মাউসকে আমূল বদলে দিয়েছিল। ১৯৮৩ সালে অ্যাসপেন ইন্টারন্যাশনাল ডিজাইন কনফারেন্স নামের সম্মেলনে প্রযুক্তি জগতের ভবিষ্যৎদ্রষ্টা স্টিভ জবস আইপ্যাড, ওয়্যারলেস নেটওয়ার্কিং অ্যাপ স্টোরের মতো বিষয়গুলো এই লিজা মাউসের সাহায্যে দেখিয়েছিলেন। পরে ‘অ্যাসপেন টাইম টিউব’ নামের একটি ক্যাপসুলে করে এই মাউসটিসহ আরও বেশ কিছু জিনিস অ্যাসপেন শহরের কোথাও মাটির নিচে পুঁতে রেখেছিল সম্মেলনের আয়োজকেরা। পরে এই গোপন টাইম টিউবটি ‘স্টিভ জবস টাইম ক্যাপসুল’ নামে পরিচিত হয়ে ওঠে। কিন্তু এই টাইম ক্যাপসুলটি কোথায় পুঁতে রাখা হয়েছিল সে স্থানটির কথা একেবারেই ভুলে গিয়েছিলেন তারা।


মাউসের প্রকারভেদ


মেকানিক্যাল মাউস

যে মাউসে নিচের দিকে একটি গোলাকার বল লাগানো থাকে এবং সেটির নড়াচড়ার প্রেক্ষিতে মাউস পয়েন্টার নড়াচড়া করে তাকে মেকানিক্যাল মাউস বলে। এই ধরনের মাউস ব্যবহার করার জন্য কোন সমান জায়গা বা মাউস প্যাডের প্রয়োজন হয়।

 

লেজার মাউস

লেজার মাউস হল একধরণের নতুন প্রজন্মের মাউস। এই মাউসটির দুইটি অংশ আছে। অংশ গুলো হলো লাইট ইমিটার লাইট ডিটেক্টর। একটি লেজার মাউস তার লেজারকে লাইট ইমিটার হিসাবে ব্যবহার করে এবং মাউসের নাড়াচাড়া লক্ষ্য করে মাউসের কাজকে পরিপূর্ণ করে

অপটিক্যাল মাউস

এই ধরনের মাউস আমরা সবাই চিনি। এবং দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার করি। এর সম্পর্কে কিছু বলা লাগবে বলে আমার মনে হয় না।

 

ব্লু-ট্র্যাক মাউস

এটি মাউসের জন্য এক ধরনের সেন্সর। এই সেন্সরটি মাইক্রোসফট দ্বারা উদ্ভাবিত। এই সেন্সরটি মাউসকে যে কোন স্থানে সঠিক কোন সমস্যা ছাড়া চলতে সাহায্য করে।

 

কিছু আকর্ষণীয় ডিজিটাল মাউস এর ছবি

8 মাউস: মাউস কম্পিউটারের একটি বিকল্প ইনপুট ডিভাইস। মাউস শব্দের সাথে আমরা প্রায় সকলেই পরিচিত। আকৃতিতে এটা দেখতে ইঁদুরের মতই। হয়তো তাই জোক বা মজা করার জন্য কম্পিউটারে এরকম শব্দ ব্যবহৃত করা হয়েছে। সাধারণ চার ধরণের মাউসের প্রচলন রয়েছে যেমন:- Serial Mouse, PS2 Mouse, USB Mouse এবং Coardless Mouse. তবে বর্তমানে PS2 Mouse এবং USB Mouse এবং Coardless Mouse এর প্রচলনই সবচাইতে বেশী দেখা যায়। মাউস দ্বারা কারসর নিয়ন্ত্রণ, কমান্ড প্রয়োগের পূর্বে নিন্মোক্ত বিষয় সর্ম্পকে স্বচ্ছ ধারণা আর্জণ করা অত্যাবশ্যক। যেমন:-
নিম্নে চিত্রসহ একটি মাউসের বর্ননা দেয়া হলো:

8 মাউস পয়েন্টার: সিপিইউ এর পাওয়ার সুইচ অন করে কম্পিুটার রান করালে স্ক্রীনে নিম্নোক্ত একটি এ্যারো দেখা য়ায়। যেমন:- 


কম্পিউটারের ভাষায় এটাকে বলা হয় মাউস পয়েন্টার। এটা একটি অত্যন্ত সহায়ক উপাদান। কম্পিউটারে কমান্ড প্রয়োগ বা ডকুমেন্টের কোথাও দ্রুত কারসর পৌছাতে এর সাহায্য অপরিহার্য্য।



8 মাউস ক্লিক: একটি মাউসের সাধারণত দুটি Buttons (বোতাম) থাকে। একটি Left Buttons অপরটি Right Buttons। কোন স্থানে মাউস পয়েন্টার স্থাপন করে মাউসের বোতামে চাপ দেয়াকে মাউস ক্লিক বলা হয়। একবার মাউস বোতাম চাপাকে সিংগর ক্লিক বলে। তেমনি দু’বার মাউসের বোতামে চাপ দেয়াকে ডাবল ক্লিক বলে এবং বামের বোতামে চাপ দেয়াকে Left Click এবং ডানের বোতামে চাপ Right Click দেয়াকে  বলে।

8 মাউস ড্রাগ করা: মাউস ড্রাগ করা বলতে কোথাও মাউস পয়েন্টার স্থাপন করে তারপর ক্লিক করে বাম বোতাম চেপে ধরে মাউস পয়েন্টার এবং কার্সরকে নির্দিষ্ট স্থানে নিয়ে ছেড়ে দেয়াকে মাউস ড্রাগ করা বলা হয়।


6 Sand-glass (বালি ঘড়ি): কোন প্রোগ্রামে যখনই কোন কমান্ড প্রয়োগ করা হয় এবং কমান্ডটি যদি দীর্ঘ সময় সাপেক্ষ হয় তখনই মাউস পয়েন্টারটি নিম্নোক্ত আকার ধারণ করে যেমন:- 
 এটাকে বলা হয় Sand-glass (বালি ঘড়ি)। লক্ষ্য করা যায় যতক্ষণ পর্যন্ত হার্ডডিস্ক কোন কাজে ব্যস্ত থাকে ততক্ষণই স্ক্রিনে উপরোক্ত চিহ্নটি দেখা যায় এবং হাডডিস্ক এর কাজ শেষ হলে পূণরায় মাউস পয়েন্টার আকার ধারণ করে।

I আই বিম: উপরোক্ত চিহ্নটির নাম আইবিম (I-Beam) মূলতঃ এটি মাউসের সাথে পয়েন্টারের সম্পর্ক রক্ষা করে মাত্র। এটি নির্দিষ্ট টেকস্টে দ্রুত কারসর পৌছাতে  সাহায্য করে। অবশ্য ক্ষেত্র বিশেষে I-Beam এর চেহারার পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়।


½কার্সর: উপরোক্ত চিহ্নটির নাম Cursor/Insertion Pointer, যে কোন ডকুমেন্টে বর্ণ সংযোজনের জন্য এটি একটি অতিব প্রয়োজনীয়। পেজের যে স্থানে বর্ণ সংযোজন করা প্রয়োজন সর্ব প্রথমে সে স্থান কার্সরটি স্থাপন করতে হবে অতপর কী-বোর্ড হতে প্রয়োজনীয় বর্ণ টাইপ করতে হবে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.